নিজের কয়েক কোটি টাকা দামের মার্সিডিজ গাড়ি পোড়ানোর ভিডিও দেখিয়ে লাখ লাখ দর্শককে স্তম্ভিত করে দিয়েছেন রুশ এক ইউটিউবার।
গাড়িটি নিয়ে একের পর এক ঝামেলা লেগে থাকায় বিরক্ত ও হতাশ হয়ে মিখাইল লিৎভিন নামের ওই ব্লগার একটি খালি মাঠের মাঝখানে নিজের দামি মার্সিডিজটি পুড়িয়ে দেন বলে জানিয়েছে মোটরওয়ান ডটকম।
এনডিটিভি জানিয়েছে, দোকান থেকে কেনার পর লিৎভিনের মার্সিডিজ-এএমজি জিটি ৬৩ এস গাড়িটি বেশ কয়েকবারই নষ্ট হয়ে যায়।
ইউটিউবার নিজেই প্রায় তিন কোটি টাকা দামের ওই গাড়িটি সারাইয়ে ৫ বার ডিলারের দোকানে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু প্রতিবারই ঠিক করার পর নতুন আরেকটা ঝামেলা বাধে।
মার্সিডিজটি কেনার পর সারাইয়ের দোকানেই এটি ৪০ দিনের বেশি কাটিয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় ওয়েবসাইট ভিসি ডটআরইউ।
এর মধ্যে একবার গাড়িটির টারবাইন বদলে জার্মানি থেকে নতুন আরেকটি নিয়েও আসা হয়। কিন্তু তাতেও কুফা কাটেনি।শেষবার নষ্ট হওয়ার পর ডিলারের দোকান লিৎভিনের ফোনের উত্তর দেওয়াও বন্ধ করে দেয়। রাগে, ক্ষোভে, হতাশায় রুশ এ ইউটিউবার গাড়িটি জ্বালিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
পরে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে খালি মাঠের মাঝখানে মার্সিডিজ পোডানোর ভিডিওটি আপলোড করেন। ভিডিওতে গাড়িতে পেট্রল ঢালার পর লিৎভিনকে লাইটারের সাহায্যে আগুন ধরাতে দেখা গেছে।
ইউটিউবে তার অনুসারী সংখ্যা ৫০ লাখের কাছাকাছি হলেও মার্সিডিজ পোড়ানোর এ ভিডিও এরই মধ্যে এক কোটি ১০ লাখেরও বেশিবার দেখা হয়েছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
অনেকে তার এ বিপজ্জনক ও অদ্ভূত ভিডিও ধারণের সমালোচনাও করেছেন।
“কীভাবে পারলেন আপনি?,” লিখেছেন এক ইউটিউবার।তবে ভিডিওর কমেন্ট সেকশনের বেশিরভাগ মন্তব্যই ছিল মজার।
“আমেরিকান ব্লগাররা আইফোন গুড়িয়ে দেয়, আর রাশিয়ান ব্লগাররা মার্সিডিজ পোড়ায়,” লিখেছেন একজন।
অন্য আরেকজনের মতে, গাড়ি পোড়ানোর এই ভিডিও-ই লিৎভিনের ক্ষতি পুষিয়ে দেবে।
“বিজ্ঞাপন থেকে যা আয় হবে, তা এরকম দুটো কেনার জন্য যথেষ্ট,” বলেছেন তিনি।
0 Comments
Please do not enter any spam link in the comment box.